ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মনে রাখবেন - শিক্ষা সেবা

সর্বশেষ তথ্য

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের বিস্তারিত জানতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

বিস্তারিত জানতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন

Friday, March 13, 2020

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মনে রাখবেন

admission test, tips

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম একটি হলো এইচ.এস.সি.পরীক্ষার পরের ভর্তি পরীক্ষা। এই পরীক্ষার পরই চলে আসে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যে সময়ে তোমার নেয়া একটিমাত্র সিদ্ধান্ত তোমার পুরো জীবনের দৃশ্যপটটাই বদলে দিতে পারে। আমরা ছোটবেলা থেকেই অবচেতন মনে নিজেদের নিয়ে কিছু স্বপ্ন লালন করি আর অপেক্ষা করতে থাকি কখন সেই সময় আসবে যখন সে অবাস্তব স্বপ্নটা বাস্তবে রূপান্তর হতে দেখতে পাবো।
একটা সময় সবগুলো ধাপ পেরিয়ে আমরা একদম দোরগোড়ায় এসে পৌঁছে যাই। কিন্তু এই সময়ে একটা ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের জীবনটাকে হতাশার বিশাল মহাসমুদ্রে ফেলে দিতে পারে!
ভর্তি পরীক্ষার আগের এই সময়টাতে তাই সবাই একটু না একটু দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যায়- এখন কী করবো, কী করা উচিত কিংবা কী করলে ভালো হয় এই প্রশ্নগুলো নিয়ে। এইচ.এস.সি.পরীক্ষার পরে এই প্রশ্নগুলোয় নিজেদের জর্জরিত করতে করতে অনেকেরই মূল্যবান সময়ের বেশির ভাগই অপচয় হয়ে যায়। আজকের লেখাটি তাদের জন্যেই।

১। নিজের ইচ্ছা আর পরিবারের ইচ্ছার মধ্যে মতবিরোধ :

বর্তমানের একটি সাধারণ চিত্র এটি। ছোটবেলা থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে কিছু স্বপ্ন লালন করি। কিন্তু আমাদের পরিবার তথা বাবা-মা তাঁরাও আমাদের নিয়ে কিছু স্বপ্ন লালন করে। মাঝেমাঝে পরিবারের স্বপ্ন আর আমাদের স্বপ্ন একই সুতোর গাঁথুনি হয়ে উঠে না। হয়তো ছেলে মেরিনে পড়তে চায়, পরিবার চায় সন্তান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুক। কিংবা মেয়েটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়, পরিবার চায় ডাক্তার হোক।
এমন পরিস্থিতিতে একজন পরীক্ষার্থীর কী করা উচিত? পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা কিছু করতে পারি না। এই ধরনের পরিস্থিতে তোমার কাছে দুটি অপশন থাকে-তোমার পরিবার তোমাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখে সে বিষয়ে নিজের আগ্রহ আর ভালোলাগা তৈরী করো আর নাহয় মা-বাবাকে তোমার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব তোমার ভালোলাগার জায়গাটা কী সেটা বোঝানোর চেষ্টা করো।
তোমার মনের মধ্যে নিজেকে নিয়ে কী স্বপ্ন লালন করছো তা বুঝিয়ে বলো আর সে পথে ধরেই এগোও। তারা অবশ্যই বুঝবে। বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে জীবন নিয়ে সমঝোতা করে খুব বেশি দূর আগানো যায় না। মনে রাখবে, তারা তোমাকে কেন বোঝে না তুমি যেমন এই যুক্তি দিতে পারও, তেমনি তুমি নিজে বোঝাতে পারছোনা ঠিকভাবে তাই তারা বুঝছেনা এটাও কিন্তু আবার বলা যায়। বুঝে নেয়ার পাশাপাশি বোঝানাটাও কিন্তু অনেক বড় একটা ব্যাপার। সেই বোঝানো টা বোঝাতে হয় মমতার ভাষায়, ভালোবাসার মধ্য দিয়ে, কখনোই কঠিনভাবে কিংবা ঝগড়া-বিবাদের মধ্য দিয়ে নয়। মনে রেখো, তারা গ্রেটেস্ট হলেও তুমি কিন্তু লেটেস্ট। তাই, মতের অমিল হলে বুদ্ধিমত্তার সাথে ডিল করতে পারাটাও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ তোমার গোটা জীবনের জন্য।

২। কোথায় পড়লে ভালো হয়?

ভর্তি পরীক্ষার আগে স্টুডেন্টদের করা সব থেকে কমন প্রশ্ন- কোন কোচিংয়ে পড়লে ভালো হয়? আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সাথে কোচিং সেন্টারের খুব বেশি একটা সংযোগ নেই। কোচিং সেন্টার আমাদের পড়ার ক্ষেত্রে শুধু দিক নির্দেশনা দিতে পারে কিন্তু চান্স পাওয়ার জন্য পড়াশোনা তোমার নিজেরই করতে হবে।

৩। মনকে প্রাধান্য দেবো নাকি বিবেককে?

জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় খুব দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যাই! যেমন ধরো, তুমি বুয়েট কিংবা মেডিকেলের প্রস্তুতি নিলে, কিন্তু রেজাল্ট দেয়ার পর দেখলে তোমার হলো না। তুমি ভাবছো তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগরসহ আরো বেশ কিছু সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম তুলে রাখো। মনের জোরে পরীক্ষাগুলো না হয় দিয়েই দাও! বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখে যে কয়দিন থাকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করো। হতে পারে প্রথমবার ব্যর্থ হওয়া এই তুমিই পরের পরীক্ষাগুলোর সব ক’টায় টিকে গেলে!

৪। ঝুঁকি নেয়ার সাহসিকতা:

যদি এর আগে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেয়ার অভিজ্ঞতা না থাকে, তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে একটা ঝুঁকি নাহয় নিয়েই ফেলো। তুমি খুবই দ্বিধায় ভুগছো কোন জায়গার প্রিপারেশন নিবে,ভার্সিটির নাকি মেডিকেলের। এবার ভালোলাগার গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলো!

৫। ভয়কে করো জয়!

Michelle Obama লন্ডনের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেয়ার সময় বলেছিলেন,
“You can’t make decisions based on fear and the possibility of what might happen. You have to remind  yourself that you have to do it.”


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad