
আপনি কি জানেন বিসিএস এর কোন ক্যাডার সবচেয়ে লাভজনক
বিসিএস দিতে এসে প্রথমেই অধিকাংশ লোক যে ভুলটা করে তা হচ্ছে ক্যাডারগুলো সম্বন্ধে একটি নূন্যতম ধারণা না নেয়া। ব্যক্তিগতভাবে আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি তা হচ্ছে, ” একজন লোক যদি তার কাজকে ভালবাসে আর শ্রদ্ধা করে এবং সে অনুযায়ী সৎভাবে কাজ সম্পাদন করে তবে তার সাফল্য নিশ্চিত, তার কাজ যাই হোক না কেন ।” সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে কেউ চাকুরি পেলে তিনি হবেন সিভিল সারভেন্ট, আভিধানিক অর্থ “চাকর” হলেও একজন স্মার্ট বিবেকবান লোক জনগনের চাকর হতে পেরে নিজেকে সর্বদা গর্বিতই মনে করবেন।
সিভিল সারভেন্টগণের কাজ হচ্ছে রাজনীতিবিদদের দ্বারা নির্ধারণকৃত নীতিকে জনগনের কল্যাণে প্রয়োগ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতির অভাবের কারণে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে তাই সিভিল সারভেন্টগণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারা অধিক প্রভাবিত।
বিগত একবছর যাবত আমি অনেক ক্যাডারে চাকুরীরত কর্মকর্তাগণের সাথে যোগাযোগ করেছি , তাদের অনেকের মাঝে যেমন হতাশা দেখেছি আবার অনেকের মাঝে আত্মতৃপ্তির পরম সুখের বাতাস বইতেও দেখেছি, এগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সুবিধা/অসুবিধা প্রত্যেকটি ক্যাডারেই আছে। বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং কোটা ও রাজনৈতিক প্রভাবের দূষণ এই প্রতিযোগিতাকে আরও কঠিন করে তুলেছে আর তাই এই পরীক্ষায় নিজের মন মত ক্যাডার(প্রথম পছন্দ) খুব কম লোকই পেয়ে থাকেন ।
এজন্য সবারই উচিত একটি যুতসই পছন্দক্রম তৈরি করা ও নিজের মনকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যে, ঐ ক্রমের যেকোন একটি পেলেই চাকুরি করবেন এটা নিশ্চিত করা, তাহলে নিজের কাজকে ভালোবাসা যাবে এবং এতে চাকুরীজীবী নিজে ও দেশ উভয়ই উপকৃত হবে ।
যাই হোক, কাজের কথায় আসি, ক্যাডার চয়েছ এর শুরুতে প্রত্যেকের উচিত সবগুলো ক্যাডার সম্বন্ধে নূন্যতম ধারণা নেয়া ও নিজের সঙ্গে যায় সে অনুযায়ী একটি পছন্দক্রম তৈরি করা , আসলে চাকুরীতে ঢোকার আগে একটা ক্যাডার সম্বন্ধে সবকিছু (১০০%) জানা সম্ভব নয়, গত এক বছরে আমি বিভিন্ন ক্যাডারের কম করে হলেও ২৫-৩০ জন (নয়া চাকুরীতে ঢোকা/চাকুরীর মাঝামাঝি অথবা শেষ দিকে আছে/অবসরপ্রাপ্ত ) এর সাথে কথা বলেছি,
No comments:
Post a Comment